বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের পরই গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে বেকার-ভাতার জন্য আবেদন করেছেন ৭ লাখ ৭৯ হাজার মার্কিনি। বেকার-ভাতার আবেদনেই স্পষ্ট যে, মহামারির সময়ের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে নির্দিষ্টসংখ্যক মার্কিনি প্রতিদিনই বেকার হচ্ছেন। এর আগের সপ্তাহে বেকার-ভাতার জন্য আবেদন পড়েছিল ৮ লাখ ১২ হাজার। মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের মার্চেও বেকার-ভাতার জন্য ৭ লাখের বেশি আবেদন পড়েনি। এমনকি মহামন্দার মধ্যেও না।
এখনো প্রকোপ থেকে বের হতে পারেনি দেশটির কর্মসংস্থান। এদিকে জো বাইডেনের প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হচ্ছে। জানুয়ারি পর্যন্ত এক কোটি ৭৮ লাখ মানুষ বেকার-ভাতা পেয়েছেন। তবে এর আগে বেকার-ভাতা পেয়েছিলেন এক কোটি ৮৩ লাখ মার্কিনি।
গত সপ্তাহে নাটকীয়ভাবে বেড়েছে গাড়ি বিক্রি, বেড়েছে বেসরকারি সব খাতের কার্যক্রম। বাড়ছে আবাসন খাতের কার্যক্রমও। জানুয়ারিতে কর্মসংস্থান বেড়েছে এক লাখ। তবে এখনো বেকারত্বের হার ৬ দমশিক ৭ শতাংশ। কিন্তু এর মানে এই না যে, খুব দ্রুত চাকরির বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে। এত বড় অর্থনীতির দেশে স্থিতিশীলতা আনতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তবে ২০২০ সালের মার্চ এপ্রিলে যেখানে দেশটির বেকার সংখ্যা ছিল এক কোটি, সেখানে ডিসেম্বরে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
আগামী কয়েক মাসে করোনার টিকা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হলে অর্থনীতি আরো স্থিতিশীল হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। ২০২১ সালে বাড়তে পারে আর্থিক প্রবৃদ্ধিও। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা বেড়েছে। বেশির ভাগ বয়স্কদের দেওয়া হচ্ছে ৬০০ ডলারের চেক। বেকাররা প্রতি সপ্তাহে পাচ্ছেন ৩০০ ডলারের চেক। এখনো যুদ্ধ করে টিকে আছে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসা। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ৩৮টি অঙ্গরাজ্য দিচ্ছে সরকারি ভাতা। ৪০টি অঙ্গরাজ্যে দিচ্ছে চেকের মাধ্যমে ভাতা।
